ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলাধীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা ও উপজেলার বৃহত্তম গ্রাম হিসেবে পরিচিত রূপসদী গ্রাম। নিরিবিলি ও শান্ত স্নিগ্ধ এক মনোরম পরিবেশে আমাদের প্রিয় রূপসদী সুজন স্মৃতি কলেজ অবস্থিত। প্রয়াত সাংসদ জনাব শাহজাহান হাওলাদার সুজন সাহেবের নামে ২০০২ খ্রিঃ কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল ফলাফল করে আসছে। আমি ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি দায়িত্ব লাভের পর থেকেই কলেজের কার্যক্রম কে আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার মানসে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করি। তারই একটি অংশ হিসেবে ওয়েব সাইটের সূচনা।
আমি আশা করি সময়োপযোগী বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনের প্রত্যয়দীপ্ত এ সূচনাকে সকলেই স্বাগত জানাবেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মানুষের জীবন ধারনের পদ্ধতিকে বদলে দিয়েছে- জীবনকে করেছে সহজ, সুন্দর ও আনন্দময়। শিক্ষা ক্ষেত্রেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যোগ করেছে নতুন মাত্রা। এর মাধ্যমে আমাদের বিদ্যালয়ের বিভিন্ন তথ্য ও ছবি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে এবং শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই পরীক্ষার রুটিন, ফলাফল, ভর্তি ফরমসহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যাদি সহজেই পেয়ে যাবে। এ ওয়েব সাইট শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও প্রাক্তনদের মাঝে তৈরী করবে এক নিবিড় বন্ধন। ফলে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক মানোন্নয়ন ও তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করনে একটি নুতন মাত্রা যুক্ত হবে বলে আমার বিশ্বাস। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করে দেশ ও জাতীর উন্নয়ন সাধন করবে এটাই আমার আন্তরিক প্রত্যাশা।
প্রতিষ্ঠানের আরো উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার জন্য আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতা ও পরামর্শ একান্ত কাম্য। তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগের এ নব যাত্রায় অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও গভর্নিং বডির সকল সদস্যের জন্য রইলো লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।
পরিশেষে সকলের সুন্দর ও সুস্বাস্থ্য কামনার পাশাপাশি আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি আল্লাহ আমাদের সকলের প্রতি সহায় হোন। আল্লাহ হাফেজ।
রূপসদী সুজন স্মৃতি কলেজে শিক্ষা প্রদানের মূল্যবোধে যা দেখি তাহলো Education is not Preparation of life, rather it is living”
শিক্ষা শুধু জীবন প্রস্তুতির উপায় নয়, তা জীবন-যাপনের প্রণালীও বটে। শিক্ষাকে জীবনব্যাপি অনুসরণীয় প্রক্রিয়া হিসেবে দেখতে হবে এবং অভিজ্ঞতাকে শিক্ষা লাভের স্বাভাবিক কৌশল হিসেবে বিবেচনায় রাখতে হবে। আধুনিক শিক্ষা দর্শনে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিসত্তা বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবোধ জাগ্রত করা এবং তাকে আত্মসত্তার আস্থাবান করে তোলাই শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
এ কলেজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহপাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী, অত্যাধুনিক ল্যাব ও ব্যবহারিক ক্লাস এবং অত্যাধুনিকস্মার্ট ক্লাস রুম। । এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে আধুনিক তথ্য ও বইসমৃদ্ধ লাইব্রেরি; যেখানে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই।প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে সাবলীল একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান। আমি উক্ত কলেজের সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।